বৃহস্পতিবার, ৫ই অক্টোবর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
কক্সবাজার সদর

কক্সবাজারে স্কুল শিক্ষিকাকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, প্রধান আসামীসহ গ্রেফতার ৩ (ভিডিও)

সুজাউদ্দিন রুবেল

মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দিবাগত রাত ১২টার দিকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে র‌্যাব-১৫ এর সহকারী পুলিশ সুপার নিত্যানন্দ দাশ।

তিনি বলেন, কক্সবাজার স্কুল শিক্ষিকা ধর্ষণ মামলার প্রধান আসামি বেদারসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে কিভাবে বা কোথায় থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে এখন বলা যাচ্ছে না। এ ব্যাপারে বুধবার (২৪ আগস্ট) বেলা ১১টায় রামুর র‌্যাব-১৫ এর সদর দফতরে বিস্তারিত জানানো হবে।

প্রসঙ্গত, গত শুক্রবার (১৯ আগস্ট) সকাল সাড়ে সাতটার দিকে মেহেদী অনুষ্ঠান থেকে বাড়ি ফেরারপথে সদর উপজেলার ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় এক স্কুল শিক্ষিকা সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হন। তবে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে এ বিষয়ে মামলা নেয় পুলিশ।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন জানিয়েছেন, গত ১৮ আগস্ট রাতে কক্সবাজার সদর উপজেলার পিএমখালী ইউনিয়নের মালিপাড়া এলাকা থেকে ভাগ্নি সম্পর্কের একজনের মেহেদী অনুষ্ঠানে গিয়েছিলেন এক স্কুল শিক্ষিকা। সেখানে পরিচয় হয় পিএমখালী ইউনিয়নের ছনখোলা ইউনূছঘোনা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে বেদার মিয়া (২৮) নামের একজনের সাথে। এসময় কিছুক্ষণ কথাও বলেন তারা। পরে কথা হয় আরও অজ্ঞাতনামা ৩/৪ জনের সাথে।

‘পরদিন ১৯ আগস্ট সকাল সাড়ে সাতটার দিকে ওই স্বজনের বাড়ি থেকে স্কুল শিক্ষিকা ইজিবাইক (টমটম) যোগে নিজ বাড়িতে ফেরার পথে ঝিলংজা ইউনিয়নের বাংলাবাজার ব্রিজ নামক এলাকায় পৌঁছালে গতিরোধ করে বেদার ও তার সহযোগীরা। এক পর্যায়ে ওই নারীকে টেনে তাদের ইজিবাইকে তুলে নেয়। তারপর দেশীয় অস্ত্রের ভয়-ভীতি দেখিয়ে ওই ইউনিয়নের চান্দের পাড়ার একটি নির্মাণাধীন ভবনে নিয়ে বেদারসহ তিনজন ধর্ষণ করে। তখন তিনি চিৎকার ও কান্নাকাটি শুরু করলে তারা পালিয়ে যায়।’

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ভুক্তভোগী শিক্ষিকার স্বজনরা বলেন, বছরখানেক আগে তার বিয়ে হয়। শারীরিক অসুস্থতার কারণে স্বামীর সঙ্গে বিবাহ বিচ্ছেদ হয় শিক্ষিকার। সংঘবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা পরিবারের লোকজন জানার পর থানায় যোগাযোগ করা হয়। প্রথমে রামু থানা সেখান থেকে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় যান তারা। পরে সোমবার (২২ আগস্ট) রাতে মামলা নেয় কক্সবাজার সদর মডেল থানা।

কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি তদন্ত মো. সেলিম উদ্দিন বলেন, ভুক্তভোগী নারীর এজাহার পাওয়ার পর মামলা লিপিবদ্ধ করা হয়েছে। আসামিদের গ্রেফতারে মাঠে কাজ করছে পুলিশের একাধিক টিম।