শনিবার, ২৩শে সেপ্টেম্বর, ২০২৩ খ্রিস্টাব্দ
কক্সবাজার সদর

কক্সবাজার সৈকতের সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ

নিজস্ব প্রতিবেদক

অতি প্রবল ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে কক্সবাজারের উপকূলীয় এলাকায় বৈরী আবহাওয়া বিরাজ করছে। ঘূর্ণিঝড় মোখা কক্সবাজার উপকূল থেকে  ৯৩৫ কিলোমিটার দক্ষিণ-দক্ষিণ পশ্চিমে অবস্থান করছে। এজন্য কক্সবাজার সমুদ্র উপকূলে স্বাভাবিকের চেয়ে কিছুটা উচ্চতায় ঢেউ আছড়ে পড়ছে। 

তবে হালকা বৃষ্টি ও সতর্কতা সংকেত উপেক্ষা করে সাগরে নামছেন কিছু পর্যটক। লাইফগার্ডের নির্দেশনাও মানছেন না তারা। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতের সব ধরনের কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দিয়েছে জেলা প্রশাসন।

শুক্রবার (১২ মে) বিকেল ৫টার দিকে কক্সবাজার পর্যটন সেলের দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মাসুম বিল্লাহ বিষয়টি নিশ্চিত করেন।

মাসুম বিল্লাহ বলেন, সমুদ্র সৈকত এই মুহূর্তে খুবই উত্তাল। পর্যটকদের সমুদ্রে নামতে নিষেধ করলেও তারা কোনো বিধিনিষেধ মানছেন না। তাই পর্যটকদের নিরাপত্তায় স্বার্থে সমুদ্র সৈকতের সকল কার্যক্রম অর্থাৎ , কিটকট (চেয়ার), ঘোড়া, ওয়াটার বাইক, বিচ বাইক, চটপটির দোকান, ভ্রাম্যমাণ দোকান, ছাতা মার্কেট, ঝিনুক মার্কেটসহ বিচের আশপাশের যেসব দোকানপাট আছে সেগুলো সাময়িক বন্ধ থাকবে। যতদিন পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হয়। ইতোমধ্যে আমরা বিচের যেসব দোকান আছে সেখানকার সভাপতি-সাধারণ সম্পাদককে ডেকে এই নির্দেশনা দিয়েছি।

তিনি আরও বলেন, সকাল থেকে সমুদ্র উত্তাল রয়েছে। পর্যটকদের সমাগম ছিল। তাদের সমুদ্র সৈকতে না নামতে মাইকিং করা হয়েছিল। তারা এসব না মানায় জেলা প্রশাসক স্যার সব কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন। এটি বাস্তবায়ন করতে আমাদের বিচ কর্মী ও ট্যুরিস্ট পুলিশ মাঠে নেমেছে।

কক্সবাজার কিটকট (চেয়ার) সমবায় সমিতির সভাপতি মাহবুব বলেন, জেলা প্রশাসন থেকে আমাদের নির্দেশ দিয়েছে কিটকট (চেয়ার) বন্ধ রাখতে। আমরা সব কিছু বন্ধ করে দিয়েছি।

এদিকে ঘূর্ণিঝড় মোখার প্রভাবে শুক্রবার সকাল থেকেই কক্সবাজারের আকাশ মেঘাচ্ছন্ন। দুপুর আড়াইটা থেকে বৃষ্টি শুরু হয়েছে।

স্থানীয় আবহাওয়া অফিসের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, মোখা কক্সবাজার উপকূলের কাছাকাছি। ফলে সাগর কিছুটা উত্তাল রয়েছে। মোখার প্রভাবে ভারি বৃষ্টি হতে পারে। বাতাসের তীব্রতা বাড়বে। ফলে কক্সবাজারের রোহিঙ্গা ক্যাম্প এবং পাহাড়ের বসতিগুলো ঝুঁকিতে পড়বে।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মুহম্মদ শাহীন ইমরান বলেন, দ্বীপ অঞ্চলের মানুষের নিরাপত্তায়  আমরা সব সময় সজাগ আছি। আতঙ্কের কোনো কারণ নেই। আমরা পর্যটকদের নিরাপত্তায় বিচের সকল ধরনের কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা দিয়েছি। এটি বাস্তবায়নের জন্য ট্যুরিস্ট পুলিশ ও বিচকর্মীরা মাঠে নেমেছেন।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *