সাবরাং উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ও সাধারণ শিক্ষার্থীদের দাবীসমূহ

টেকনাফ
স্বেচ্ছাচারিতায় উন্মাদ হয়ে যখন যাকে ইচ্ছা ছাত্র/ছাত্রীদের জীবন নিয়ে খেলা করা, প্রতিহিংসাপরায়ণ হয়ে এসএসসি পরীক্ষার্থীদের বছর লস করা প্রধান শিক্ষকের পদত্যাগ চায়। তাঁর সহযোগী অবৈধভাবে উত্তীর্ণ হওয়া সহকারী প্রধান শিক্ষককেও পদত্যাগ করতে হবে।
বিজ্ঞপ্তি বিহীন, পরীক্ষা বিহীন, ঘুষ বাণিজ্যের মাধ্যমে দুর্নীতি করে যোগ্যতা থাকা সত্বেও স্থানীয়দের মূল্যায়ন না করে যে সকল শিক্ষক নিয়োগ দেয়া হয়েছে তাদের সবাইকে পদত্যাগ করতে হবে।
নিজের ইচ্ছামতো শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত স্কুলের বেতন কমাতে হবে। যারা হতদরিদ্র বিবেচনাপূর্বক তাদেরকে বিনা বেতনে পড়ার সুযোগ দিতে হবে।প্রত্যেক শ্রেণির ফান্ড বিলুপ্ত করতে হবে। যত দুর্নীতি এই ফান্ডের কারণে হয়। আগামীতে শ্রেণী ভিত্তিক কোনো ফান্ড থাকবেনা তার নিশ্চয়তা দিতে হবে।
স্কুলে শিক্ষার্থী সংখ্যা ১২০০ এর উপরে। অথচ এত বেতন তোলার পরেও ক্লাসের যাবতীয় ক্রয় বিক্রয় (মার্কার,ফ্যান,হোয়াইট বোর্ড) ইত্যাদি ছাত্রদের টাকায় দিতে হবে কেন? অবশ্যই তা স্কুলের টাকায় করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী থেকে আলাদা টাকা নেওয়া যাবেনা।
কোন ছাত্র কোন স্যারের কাছ থেকে প্রাইভেট পড়বে এটা তার ব্যক্তিগত বিষয়। অথচ এখানে নির্দিষ্ট স্যারের কাছ থেকে পড়ার জন্য বাধ্য করা হয়। কোন শিক্ষক কোন ক্লাসের স্টুডেন্ট পড়াবে তার একটা সিন্ডিকেট করে দিছে স্বয়ং প্রধান শিক্ষক! এই সিন্ডিকেট সম্পূর্ণ ভেঙে দিতে হবে এবং কোন শিক্ষার্থীর উপর জোর জবরদস্তি করা যাবেনা। কোনো শিক্ষক যদি স্টুডেন্টদের প্রাইভেট পড়তে বাধ্য করায় তার বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে ।
স্কুলের যাবতীয় প্রোগ্রামের টাকা স্কুল কর্তৃপক্ষকে বহন করতে হবে। কোনো শিক্ষার্থী থেকে আলাদা টাকা নেওয়া যাবে না
বিলুপ্ত স্কুল কমিটি আবার ঘোষণার আগে সত্যিকারের শিক্ষানুরাগী যারা তাদেরকে ম্যানেজিং কমিটিতে রাখতে হবে। কোন মাদক কারবারি এবং মাদকসেবী কে স্কুল কমিটি তে রাখা যাবেনা। শিক্ষার্থীদের মনের ভাব বুঝে এমন প্রাক্তন ছাত্রদের কমিটিতে স্থান দিতে হবে। কোনো শিক্ষক ক্লাসে অম্লীল বা খারাপ শব্দ চয়ন করলে এবং পরবর্তীতে তা সত্য প্রমাণিত হলে অবশ্যই সেসকল শিক্ষককে ২৪ ঘন্টার মধ্যে বরখাস্ত করতে হবে।
স্কুলের হিসাব ফান্ড ঠিক রাখার জন্য স্কুল কর্তৃক নিয়োগকৃত কেরানীকে তাঁর দায়িত্ব বুঝিয়ে দিতে হবে।
Spread the love
আরও পড়ুন!  একরামের স্ত্রীকে চুপ থাকতে বলেছিলেন সাবেক সেতুমন্ত্রী ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী