শুক্রবার, ২৯শে মার্চ, ২০২৪ খ্রিস্টাব্দ
Homeটেকনাফঅনাবৃষ্টির কারণে টেকনাফে শত শত একর জমি অনাবাদী,কৃষকের মাথায় হাত

অনাবৃষ্টির কারণে টেকনাফে শত শত একর জমি অনাবাদী,কৃষকের মাথায় হাত

মিজানুর রহমানঃ

অনাবৃষ্টির ফলে টেকনাফে শত শত একর আমন ধান চাষের জমি অনাবাদি হয়ে পড়ে রয়েছে। স্থানীয় চাষিরা জানান, গেল পবিত্র ঈদুল আজহার পর হতে ভারি বৃষ্টি না হওয়ায় জমিতে রোপা আমনের চাষ করা যাচ্ছে না।

বাংলা বর্ষের আষাঢ়- শ্রাবন মাসে প্রচুর বৃষ্টিপাত হয়। ঐ সময় চাষিরা মনের আনন্দে গান গেয়ে গেয়ে রোপা আমন চাষ করে। কিন্তু চলতি বাংলা সনে শ্রাবন মাসে অনা বৃষ্টির কারণে দুই-তৃতীয়াংশ জমি এখনও অনাবাদি হয়ে পড়ে আছে। বীজ তলায় ধানের চারা বড় বড় হতে হতে চারাতেই ধান বের হচ্ছে বলে কৃষকেরা জানান। এ অবস্থা চলতে থাকলে চলতি আমন মৌসুমে আমন ধান চাষে ব্যাপক ক্ষতি হতে পারে বলে কৃষকগণ জানান।

সুত্র জানায়, সরকার দেশের খাদ্য স্বয়ং সম্পুর্ণতা অর্জনের লক্ষ্য খাদ্য ও কৃষি মন্ত্রণালয় কর্তৃক কৃষকদের জন্য বিভিন্ন সুযোগ সুবিধার কর্মসুচী গ্রহণ করেছেন। এর মধ্যে রয়েছে, করোনাকালীন সময়ে কর্মহীন হয়ে পড়া কৃষকদেরকে প্রনোদনা দেওয়া। বিনা মুল্যে বা ন্যায্য মুল্যে সার ও কীটনাশক ওষুধ সরবরাহ, সহজ শর্তে ব্যাংকের ঋন দেওয়া, কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা, অনাবৃষ্টি হলে সে সমস্ত এলাকায় সেচের মাধ্যমে চাষের ব্যবস্থা করা ইত্যাদি। কিন্তু উল্লেখিত কর্মসুচীতে যে সুযোগ সুবিধার কথা বলা হয়েছে, এর সিকি পরিমান কৃষকদের নিকট পৌছায় না বলে স্হানীয় কৃষকেরা জানান।

টেকনাফ উপজেলার বিভিন্ন এলাকা পরিদর্শন করে কৃষকদের সাথে কথা বলে জানা যায়, তাদের বিশেষ কোনো সুযোগ সুবিধা নেই। তারা বলেন, কাগজে পত্রে সুযোগ সুবিধা। কিন্তু আমরা চাষি আমরা বাংলা সনের তিনটি মৌসুমে অর্থাৎ আমন,আউশ ও বোরো ধান চাষ করে থাকি। এ সময়ে আমরা হালের বলদ, লাঙ্গল,জোয়ালও কৃষি উপকরণসহ বিভিন্ন খরচের জন্য চড়া সুদে মহাজন থেকে টাকা নিয়ে কৃষি চাষ করি। ভাল ফসল হলে জমির উৎপাদিত ধান বিক্রি করে মহাজনের সুদ পরিশোধ করে বাকী টাকা দিয়ে সংসার চালাই। চলতি আমন মৌসুমে ও একই কায়দায় মহাজনের চড়া সুদে টাকা নিয়ে বিভিন্ন কৃষি উপকরণ করে বসে রয়েছি। কিন্তু অনাবৃষ্টির কারণে চাষাবাদ করতে পারছি না। কিভাবে এই সুদ ও সংসার চালাব এই নিয়ে কৃষকেরা জমিতে বসে মাথায় হাত দিয়ে বসে রয়েছে।

এ বিষয়ে টেকনাফ উপজেলা উপ সহকারী কৃষি কর্মকর্তা শফিউল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, অনাবৃষ্টিতে টেকনাফে আমন ধান চাষ ব্যহত হচ্ছে। এ বিষয়ে কি করা যায় তা নিয়ে গবেষণা চালানো হচ্ছে। টেকনাফ উপজেলায় চলতি আমন মৌসুমে ১০ হাজার ৮ শত ২০ হেক্টর জমিতে চাষ করার লক্ষ্য মাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।

RELATED ARTICLES

Most Popular

Recent Comments